সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের পাতা উল্টে যদি ১৯৫৯ সালে ফিরে যাই, তখন ন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নামে পরিচিত ছিল আজকের ইজাব ডেভেলপারস লিমিটেড। এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা, মরহুম ইজাব উদ্দিন আহমেদ, তার অসামান্য নেতৃত্বে কলকারখানা, কোল্ডস্টোরেজ, রাজশাহীর চিনি মিল এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ভবন, এমনকি তিস্তা ব্রিজের কাঠামো নির্মাণের মতো বহু চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প সামলেছেন।
আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে যে সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে, সেটি বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটি বাড়ি মূলত শান্তি, সুখ এবং নিরাপত্তার অবকাশ যোগানোর জায়গা হওয়া উচিত, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ্য এবং নিশ্চিন্ত।’ ইজাব গ্রুপের নেতৃত্বের এমন দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণ শিল্পে তাদের বিশেষ অবদান তৈরি করেছে।
২০০৭ সালে পদার্পণ করে ইজাব ডেভেলপারস লিমিটেড, যার বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। সেই বছরই প্রতিষ্ঠানটি রিহ্যাবের সদস্য পদ অর্জন করে। একের পর এক আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়ে ইজাব ডেভেলপারস এখন পর্যন্ত ৪০টি প্রকল্পে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। শুরু থেকেই দেশের আবাসন ব্যবসায়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত, প্রথম তিন বছরে মাত্র ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে ১৬টি সফলভাবে সম্পন্ন করে। গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ইজাব ডেভেলপমেন্টসের পথচলার সহযাত্রী হিসেবে সব সময় পাশে ছিল আকিজ সিমেন্ট।
ঢাকার রাজধানীতে ইজাব ডেভেলপারস লিমিটেডের সম্পন্ন করা প্রকল্পগুলো দেখে গ্রাহকদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি স্পষ্ট। প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পিত ও কাক্সিক্ষত ফ্ল্যাটগুলি গ্রাহকদের আকাঙ্খার মিলনস্থল হয়ে উঠেছে, এবং এসব সাফল্য অর্জন করার কাজ যতটা চ্যালেঞ্জিং, প্রতিষ্ঠানটি ততটাই দক্ষতার সাথে তা সমাধা করেছে।
বৈশিষ্ট্যাবলী
ইজাব গ্রুপের প্রসারিত অংশগুলির বিস্তারিত পরিচিতি: ১৯৭১ সাল থেকে এই গ্রুপের বৃহত্তর পরিসরে বিস্তার শুরু হয়, যখন তারা নতুন মিল ও কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। আজ ইজাব গ্রুপ একটি বৃহৎ শিল্প পরিবার হিসেবে গণ্য হয়, যা তার অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা উল্লেখযোগ্য সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। ইজাব ডেভেলপারসের মূলনীতি ও ব্যবসায়িক সফলতা অগ্রগতির প্রতীক, যা তাদের উচ্চমানের প্রজেক্ট সম্পাদন ক্ষমতা দ্বারা প্রমাণিত। প্রতিটি প্রকল্পে উচ্চমানের সেবা প্রদানে কোনো আপস না করা, শ্রমিক থেকে প্রকৌশলী পর্যন্ত সকলের কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়।
মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকার ৪২ নম্বরে নতুন আটতলা ভবনে ইজাব ডেভেলপারসের কেন্দ্রীয় অফিস অবস্থিত। এই অফিসে চিফ অপারেটিং অফিসার পংকজ কুমার ঘোষের সাথে কোম্পানির ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়।
প্রত্যেক সদস্য তাদের সম্পূর্ণ নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করছে, যার ফলে ক্লায়েন্টরা আমাদের কাজের মানে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমাদের লক্ষ্য হলো মানসম্মত সেবা দিয়ে দেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা, যা আমাদের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও দৃঢ় করে এভাবেই বলেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটি বাস্তবে আবাসন স্বপ্নগুলি সত্যি করে তুলছে।
ইজাবের যাত্রা শুরু হয় উত্তরায় ‘সাউথ কানেকশন’ নামের একটি আবাসিক ভবন নির্মাণ দিয়ে। বর্তমানে এই প্রকল্পের সংখ্যা বেড়ে ৪০ এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১৬টি সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও কিছু নতুন প্রকল্প এই বছর শুরু হবে। প্রতিষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ইজাব ডেভেলপারসের পরিচালনা দলে রয়েছেন অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন পরিচালক, যাদের প্রয়াসে প্রতিষ্ঠানটি আজ এক উচ্চমানের স্থানে পৌঁছেছে।
ইজাব গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেছার আহমেদ, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদের নেতৃত্বে, সেলিনা আহমেদ, সুলতানা আফজাল, তাহমিদা শারমিন ইসলাম আহমেদ, খুরশিদ আহমেদ ও সাজিয়া আহমেদ খানের মতো পরিচালকরা বোর্ডে অবদান রাখছেন। তাদের সঠিক তদারকিতে প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
চলমান প্রকল্পগুলি
ইজাব গ্রুপ তাদের বেশ কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে যা শীঘ্রই সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: মহাখালীর ৪২ ইজাব ফ্লোরা ইউনিটি টাওয়ার এবং ইজাব রাবেয়াস হেরিটেজ, মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের ইজাব আলম ভিলা, ১৫০ মণিপুরীপাড়ার ইজাব সমিকসা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইজাব সালাম প্যালেস এবং ইজাব ইসমাইল ম্যানসন। উত্তরা এলাকায় ইজাব রোজল্যান্ড, ইজাব নাদিয়া ভিলা, ইজাব সুলতানা’স ড্রিম এবং ইজাব আরসিনগর/আরশিনগর প্রকল্পগুলির কাজও এগিয়ে চলেছে। মিরপুরে ইজাব চন্দ্রলোক, ইজাব জেবুন্নেসা, ইজাব রোজ ভ্যালি, ইজাব সুরমা এবং ইজাব ইসলাম টাওয়ারের নির্মাণ কাজ চলমান। খিলগাঁওয়ের ইজাব রিলেটিভ ভিলা এবং সূত্রাপুরের ইজাব অলিফা সিদ্দিক স্বপ্ন নীড় এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
যোগাযোগের তথ্য
ইজাব ডেভেলপমেন্টস
অফিসের ঠিকানা:
ইজাব ফ্লোরা ইউনিটি টাওয়ার
৪২ মহাখালী (বাণিজ্যিক এলাকা), ঢাকা- ১২১২
টেলিফোন: +৮৮০-২-৮৮৩৬৬২৮-৯
মোবাইল: ০১৮১৪-৬৫৭৬৮২
ওয়েবসাইট: ejabgroup.com
প্রকাশকাল:
বন্ধন ৩২ তম সংখ্যা, ডিসেম্বর ২০১২
সম্পাদক: আনিস রহমান